বাংলাদেশের বড় ট্রাভেল গ্রুপ (tob) হ্যাকারদের কাছ হতে উদ্ধার

বাংলাদেশের বড় ট্রাভেল গ্রুপ ট্রাভেলারস্ অব বাংলাদেশ (tob) হ্যাকারদের কাছ হতে উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার নিয়ে টিওবি গ্রুপে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিঃ

“অনেকেই হয়ত ইতোমধ্যে জেনে গেছেন টিওবি’র মেইন গ্রুপ হ্যাকারদের কাছ থেকে আবার আমাদের কাছে চলে এসেছে। গত এক তারিখে গ্রুপটি কে বা কারা হ্যাক করেছিল। হ্যাকাররা ঠিক কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে এই কাজটি করেছিল সেটি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। সো ফার যা দেখা গেছে সেই সময়ে দায়িত্বে থাকা এডমিনিস্ট্রেটরদের কারওই ব্যক্তিগত একাউন্ট কম্প্রোমাইজ হয়নি। আমাদের গ্রুপটি ফেসবুকের পুরাতন গ্রুপগুলোর মধ্যে অন্যতম, ফেসবুকের অনেক আপডেট/ফিচার কোন কারণে আমাদের গ্রুপের ক্ষেত্রে কাজ করে না বা অনেক পড়ে গয়ে এক্টিভ হয়। আমরা ধারনা করছি ফেসবুকের কোন বাগ ব্যবহার করে এই অপকর্মটি করা হয়েছে।

আপনারা হয়ত জানেন গ্রুপটি একবছর আগেও একবার হ্যাকিংয়ের স্বীকার হয়েছিল। সেইসময়ে তারা কোন বাগ প্লেস করে রাখতে পারে এমন ধারনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আমাদের এক্সপার্টরা সম্ভাব্য সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন ও এমন ঘটনার পিছনে যে বা যারা আছে তাদের খুজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেই সাথে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন। আমাদের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ, সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও ফেসবুকের ডেভেলাপমেন্ট টিম একযোগে কাজ করছে।

হ্যাক হওয়ার পর থেকে সদস্যরা যেভাবে টিওবি’র প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছেন তা এককথায় অভূতপূর্ব। আপনাদের ভালবাসা ও আপনাদের সহযোগিতার কারণেই এমন জটিল পরিস্থিতি থেকে টিওবি বের হয়ে আসতে পেরেছে। সবাই যেভাবে টিওবি’র সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে নিজেদের প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করেছেন, নিজেদের হতাশা ও রাগ ব্যক্ত করেছেন, দোয়া করেছেন, টিওবির এমন অবস্থায় কষ্ট পেয়েছেন, নিজেরা যার যার মত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের এই ভালবাসাটুকুই টিওবির শক্তি। বিডি সাইক্লিস্ট, ফুয়াদ আহসান চৌধুরী ভাই, ইয়াসির আতিফ সুমন ভাই, নিউইয়র্ক প্রবাসী জুয়েল ভাই, নুর ভাইয়ের বন্ধুদের কাছে টিওবি কৃতজ্ঞ। সময়মত তাদের আন্তরিক সহযোগীতার কারণে এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসা গেছে। আপনাদের সবার প্রতি টিওবি কৃতজ্ঞ।

আমরা জানি টিওবির শত্রু সংখ্যা অনেক। প্রতিদিন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা যে পরিমান হেট স্পিচ সহ্য করে কাজ চালিয়ে যান তা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আমরা কখনওই ভাবিনি টিওবি যাদের পছন্দ না, টিওবির আইডিওলজি যাদের পছন্দ না তারা প্রতিশোধস্পৃহা থেকে এই ধরনের কোন অপরাধমূলক কাজ করতে পারেন। আমরা এখনও এমনটা বিশ্বাস করতে চাই না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিগত চারদিনে বেশ কয়েকজনের সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি আমাদের নজরে এসেছে। টিওবি হ্যাক হওয়াতে বেশ কিছু মহলের উল্লাস সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। আমরা উক্ত আইডিগুলো নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। আমরা মনে করছি ব্যক্তিগত আক্রোশে কেউ কেউ এমন ঘৃণ্য কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকতে পারে।

এর আগে বহুবার আমরা এমন হুমকি ধামকি পেয়েছি। কখনওই আমরা আইনিপদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবিনি। কিন্তু এবার আমরা সকল বিষয়ে আইনিপদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অপরাধীদের কোন প্রকার ছাড় দিয়ে তাদেরকে আস্কারা না দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে হে। যে বা যারাই এইসব অপকর্মের সাথে জড়িত আছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ একই সাথে চলমান আছে।

হ্যাকাররা গ্রুপের বেশ কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলেছিল। ফেসবুকের পলিসির কারণে সহসাই আমরা সেসব পরিবর্তন করতে পারছি না। টিওবির মেইন গ্রুপ পুরোপুরি রিস্টোর হতে তাই এখনও কিছুটা সময় লাগবে। এই সময়টুকু টিওবির সাথে ধৈর্য্য ধরে আমরা সবাই অপেক্ষা করি।

আমি আগেও বলেছিলাম, টিওবি জাস্ট একটা ফেসবুক গ্রুপ না। টিওবি ইজ এন আইডিয়া। এন্ড আইডিয়াজ আর বুলেট প্রুফ।

সবাইকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

ইতিমধ্যে সাইটটি সচল করা হয়েছে।