গত বৃহস্পতিবার রাতে লকডাউন চলাকালীন অবস্থায় উত্তর কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা গণমাধ্যম কর্মী জুয়েল শীলের বোনের প্রসব বেদনা শুরু হয়।এ সময় দ্রুত কন্ট্রোল রুমের হেল্প লাইনে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য ফোন দেয়া হয়। কিন্তু কোন ধরনের সেবা পাওয়া যায়নি। পরে রেড ক্রিসেন্টের অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রসূতি মাকে।
গণমাধ্যম কর্মী জুয়েল শীল বলেন, ‘হেল্পলাইন থেকে বলা হয় দেখি আপনাদের জন্য ব্যবস্থা করতে পারি কি না। প্রায় ৩০ মিনিট চলে যাওয়ার পরেও কোনো কল আসেনি। পরে অন্য যায়গায় ফোন করে আমার অ্যাম্বুলেন্স আনতে হয়েছে।’
নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকায় আটাত্তর হাজার মানুষের বসবাস। করোনার বিস্তার রোধে নগরীর ১০টি রেডজোন ওয়ার্ডের মধ্যে প্রথম লকডাউন করা হয় উওর কাট্টলী ওয়ার্ডটিকে। লকডাউন চলাকালীন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা সেবাসহ আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও কিছুই পাওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ কাট্টলীবাসীর। তাই ঘর থেকে বাধ্য হয়েই বের হতে হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
একজন বলেন, ‘আমাদের কেনো লকডাউন দিয়ে বন্ধী করে রাখছে। আমাদের কি খাবার দিচ্ছে। একটু সবজি পর্যন্ত দেয় নাই।’
আরেকজন বলেন, ‘যে সেবা আমাদের দেওয়ার কথা তার কিছুই আমরা পাইতেছি না। পেটের কারণে হয়তো আমাদের বাইরে যেতে হবে।’
মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সাহায্য করা না গেলে, লকডাউন সফল হবে না বলে মনে করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি।
তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের দাবি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।
গত ১৬ জুন থেকে লকডাউন শুরু হয় উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে।